★ স্বামীর সঙ্গে আদর্শতায় কর বসবাস- কষ্ট পেলেও কখনাে হবে না নৈরাশ।

স্বামী-স্ত্রীর মিলন ও সম্পর্ক বালুচরের খেলা ঘর নয় যে, যখন ইচ্ছা ভেঙ্গে দেয়া যাবে
এবং মূর্তি নয় য়ে, বারমাসে তের পূজা করে ভেঙ্গে ফেলে দিলাম, পুনরায় মন ইচ্ছে
মত মাটি দিয়ে তৈরি করে নিলাম, এটা নয়। বরং এ বন্ধন হলাে ইহকাল ও পরকালের
সঙ্গী। মৃত্যু অথবা তালাক ব্যতীত এ মিলন ছিন্ন হবে না। সারাটা জীবন এরই মধ্যে
অতিবাহিত হয়ে থাকে। যদি স্বামী-স্ত্রীর দুটি হৃদয় এক হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে
এর চেয়ে উত্তম শান্তি আর কোথায়? তখন সাধারণ কুড়ে ঘরে ও জান্নাতের নমুনা
দেখতে পাওয়া যায়। অপর দিকে যদি দুটি মন, এক না হয়, তাহলে দুনিয়া ও
আখিরাতে এর চেয়ে মহা বিপদ আর নেই। রাজ প্রসাদ স্বর্ণ দিয়ে গড়া থাকা সত্ত্বেও
পৃথিবীটা জাহান্নামের নমুনা মনে হবে।

 স্বামীর সঙ্গে আদর্শতায় কর বসবাস-  কষ্ট পেলেও কখনাে হবে না নৈরাশ

শাহাজাহানের অন্তরে মমতাজ ভালবাসার রেখাপাত করেছেন বিদায় তার জন্য
তাজমহল নির্মান হয়েছে। যদি তার হৃদয়ে ভালবাসার রেখা আকতে না পারতেন,
তাহলে কি শাহাজাহান তাজমহল নির্মান করতে পারতেন? এই জন্য কবি বলেছেন-
“তাজমহলের মর্ম গাঁথা -কবির অশ্রুজল,
অন্তরে তার মমতা নারী- বাহীরে শাহাজাহান’ ||
স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ সাদীর পর জীবন সুখ-শান্তি আনন্দময় ও সাফল্য কামীয়াবি বানাতে
নারীর ভূমিকা প্রধান। বলতে গেলে নারীর হাতেই সবকিছু। সুতরাং যতদুর সম্ভব
স্বামীর অন্তরকে নিজের আয়ত্তে এনে তাকে আপন বানিয়ে নিতেই হবে নারী কে।
কেননা সম্পূর্ণভাবে স্বামীর রঙ্গে রঞ্চিত হতে হবে। স্বামীর মতে চলতে হবে। যখন
স্বামী যেই আদেশ করেন, তাহাই মেনে নিবে। স্বামী যদি বলে যে, রাত ভর হাত জোর
করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে অথবা হাতপাখা নিয়ে বাতাস করতে হবে, অথবা সারা।
বাত স্বামীর হাত পায়ে মালিশ করতে হবে, তাহলেও এই আদেশ মেনে নিবো।
ইহকালের সামান্য কষ্ট ধৈর্য ধারণ করে, পরকালের অফুরান্ত সফলতা ও সীমাহীন

নেয়ামতা অর্জন করার অভ্যাস করে নেয়া সকল নারীদের জন্য উচিত।।
বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে নারী তখনই উচ্চ মর্যাদার আসনে সীমাবিহীন হতে পারবে, যখন।
সে নীজ স্বামীর হৃদয় গভীরে প্রাণের নিবীরে নিজের স্থান কে আদর্শবান করতে ইচ্ছে।
হবে। স্বামীর হৃদয়ে যে নারীর স্থান নেই, জগত্বাসীর দৃষ্টিতে তার কি সম্মান থাকতে।
পারে? স্বামীর অন্তরে স্থান গড়ে যেই নারী জগৎকে জান্নাত বানাতে পারে এবং আহলে।
বাইয়্যাত জন্মাতে পারে, সেই নারী পরকালে অফুরন্ত কল্যাণ ও সম্মান অর্জন
করতে পারে।হযরত ফাতেমা (রাঃ)তিনি পানির গ্লাস হাতে নিয়ে সারা রাত কাটিয়ে।
দিলেন হযরত আলী (রাঃ)এর ঘুম ভেঙ্গে যাবে বলে, এইজন্য এর বিনিময় ফাতেমা।
হয়েছেন বেহেস্তের সর্দারিনী।

No comments

Powered by Blogger.